Top News

সিঙ্গাপুর থেকে পালালেন শেখ তাপস! কোথায় আশ্রয় নিলেন? সব হলো ফাঁস

 


২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখন ঢাকার শেরাটন হোটেলের ১২ তলার বিলাসবহুল বলরুমে এক ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছিল। সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তার ছেলের গ্রাজুয়েশন উদযাপন করছিলেন, যখন রাজধানীর রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছিল। এই সময়ে তাপসের বিলাসবহুল পার্টি এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশার মধ্যে চরম বৈপরীত্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাপস ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান। তিনি প্রথমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন এবং শেষ পর্যন্ত সপরিবারে সিঙ্গাপুর চলে যান। সূত্রমতে, তিনি দীর্ঘদিন ভিসা ছাড়াই সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন, তার দুই ছেলে যথাক্রমে লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন।


শেখ তাপসের বিরুদ্ধে নানা সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন অভিযোগ করেন যে তাপস দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শত শত কোটি টাকা নিজের মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়েও তার নাম জড়িত হয়েছে, যেখানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মেজর জেনারেল শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ সরাসরি তাপসকে অভিযুক্ত করেছেন।


মিডিয়া ও পরিবেশবিদদের সাথেও তাপসের বারবার সংঘাত হয়েছে। ২০২৩ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে ১০০ কোটি টাকার মানহানির নোটিশ পাঠান তিনি। একই বছর সাত মসজিদ সড়কে গভীর রাতে গাছ কাটার সময় পরিবেশবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে নগরভবনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তিনি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন।

২০২৩ সালে তাপস একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে তিনি একজন প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন, যা নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। তার আরেক বিতর্কিত মন্তব্য “কোথায় মুগুর মারতে হয় সেটাও জানি” সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও শেখ তাপসের নাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেখা থাকবে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য নিয়ে তৈরি হওয়া সমালোচনা আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post