কয়েক শতাধিক যুবক ও কিশোর রাস্তার ওপর হাঁটাচলা করছে। তাদের হাতে রয়েছে টর্চ লাইট, লাঠি, ডাল, ট্যাটা, কাতরা, ফুল কোচিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। তারা সবাই নিরাপত্তা ও সম্বল রক্ষার্থে পাহারা দিচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে শোনা যায় ‘বাজারে ডাকাত এসেছে, আপনারা বের হন’। মাইকিং শুনেই যে যার অবস্থান থেকে এলাকার সব লোকজন বের হয়ে আসেন। এ সময় একত্রিত হয়ে কালকিনি পুরান বাজারসহ সব অলিগলিতে ডাকাত খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু কোনো ডাকাতকে ধরতে পারেননি তারা। এজন্য নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সম্বল রক্ষার্থে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে প্রধান সড়কগুলোতে মহড়া দেন। পরে পুলিশের নিরাপত্তার আশ্বাসে ঘরে ফিরে যান তারা।এ ব্যাপারে স্থানীয় সংবাদকর্মী আশরাফুল হাকিম বলেন, বরিশালের সেলিমপুর থেকে একদল ডাকাতকে ধাওয়া দেয়। ওখান থেকে ধাওয়া খেয়ে কালকিনি উপজেলার আন্ডারচর গোপপাতা এলাকায় ঢোকে। এ সময় টের উপজেলার প্রতিটি বাজারের মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে ডাকাত পালিয়ে যায়।কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, আমি ডাকাত পড়ার কথা শুনছি। বর্তমানে আমার টিমসহ আমি বাইরে আছি। কিন্তু কোথাও এরকম কোনো আলামত পাওয়া যায় নাই। এলাকাবাসী মাইকিং শুনে আসছিলেন। আমরা এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় রয়েছি।
Post a Comment