আছিয়াকে ধর্ষণের অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন



 আছিয়াকে ধর্ষণের অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতামাগুরার শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযুক্তদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মাগুরার নোমানী ময়দানে আছিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই জানাজায় উপস্থিত অনেকেই গিয়ে ধর্ষণের অভিযুক্ত হিটু শেখের নিজনান্দুয়ালী গ্রামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।অন্যদিকে, আজ বাদ এশা সোনাইকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাযলয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সোনাইকুন্ডি সম্মিলিত কবরস্থানে আছিয়াকে দাফন করা হয়।

আছিয়ার প্রথম জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুলাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম, জেলার বিভিন্ন রাজনৈকিত নেতারাসহ হাজারো মানুষ।এর আগে সন্ধ্যাা ৬টা ২০ মিনিটে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শিশু আছিয়ার মরদেহ নিয়ে মাগুরা স্টেডিয়ামে নামে। এ সময় মরদেহের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও আছিয়ার মা আয়েশা আকতার ছিলেন। 

মাগুরায় মরদেহ গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক মোহামাদ অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাহমুদা মিনা। 

এর আগে ৫টার দিকে র্যা বের হেলিকপ্টারে মামুনুল হক, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম জানাজায় অংশ নিতে আসেন। 

দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুর সংবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপরে এলাকায় পৌঁছালে সেখানে শোকের ছায়া নেমে আসে। মেয়ের এমন করুণ দুঃসংবাদে শিশুটির বাবা মানসিক অসুস্থ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনার দ্রুত বিচার ও দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। এ রকম জঘন্য ঘটনা আর যেন কারও সঙ্গে না ঘটে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ এ দাবি জানান তারা। 

গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী ওই শিশু। অভিযুক্ত তাকে হত্যারও চেষ্টা চালান। 

ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় গত ৮ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির মা আয়েশা আকতার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন আছিয়ার বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪৫), শাশুড়ি জাহিদা বেগম (৪০), বড় বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯) ও ভাসুর রাতুল শেখ (২৫)। মাগুরা সদর থানা পুলিশ শ্বাশুড়ি ও ভাসুরকে শনিবার পৌরসভার নিজনান্দুয়ালী গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে।

এর আগে ৯ মার্চ গভীর রাতে আসামীদের মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ড শুনানি হয়। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখকে ৭ দিন ও আসামি জাহিদা বেগম, সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post