বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাবন্দি। সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীও কারাগারে। ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব কে পেতে চলেছেন তা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে কৌতূহল আছে।
এরইমধ্যে মহাসচিব আর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের অবর্তমানেই ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ করল বিএনপি। এই সমাবেশ প্রস্ততি কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও কারাগারে।
গঠনতন্ত্র অনুসারে মহাসচিব আর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে ১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার কথা। বিএনপিতে সাতজন যুগ্ম মহাসচিব রয়েছেন।
তারা হলেন—ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন-অর-রশিদ ও আসলাম চৌধুরী।
গঠনতন্ত্রের ধারাক্রম অনুযায়ী, মহাসচিবের অবর্তমানে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তার অবর্তমানে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে ১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
মির্জা ফখরুল আর রুহুল কবির রিজভী বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের এই দুই নেতার অবর্তমানে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।
তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিএনপির তরফে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। যদিও দলের সাংগঠনিক বিষয়াদি মির্জা ফখরুলের অবর্তমানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেখছেন। শনিবার ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথিও ছিলেন তিনি।
বিএনপির কয়েক জন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা আশা করছেন মির্জা ফখরুল ও রিজভীসহ গ্রেপ্তার শীর্ষ নেতারা দ্রুত কারামুক্ত হবেন। আর একারণেই হয়ত ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি।
Post a Comment